চীনের জাতীয় সুরক্ষা আইন পরিবর্তন করে অতীতের তুলনায় আরো বেশি ক্ষমতা পেয়েছে চীনের সেনাবাহিনী। এর ফলে আরো অধিক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মিলিটারি কমিশন। দেশের অভ্যন্তরে কিংবা বিদেশে চীনের সেনাবাহিনী ও দেশের সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ক্ষমতা পেলেন চীনের রাষ্ট্রপতি জিনপিং।
নতুন বছরের শুরুতেই নতুন আইন কার্যকর করা হয়েছে কমিউনিস্ট চীনে। এর মাধ্যমে লি কেকিয়াং নেতৃত্বাধীন চীনের মন্ত্রীসভা স্টেট কাউন্সিলের ক্ষমতা বেশ কিছুটা হ্রাস করা হয় আর চীনের মিলিটারি কমিশনের হাতেই এখন থেকে সেনাবাহিনী সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
চীনের সেনাবাহিনী বর্তমানে ২০ লক্ষ সেনা কর্মরত রয়েছে। সংস্কার করা নতুন আইনে ‘শৃঙ্খলাভঙ্গ’ ও ‘উন্নয়নমূলক স্বার্থ’ বজায় রাখতে এবার থেকে সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হবে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে জাতীয় স্তরে বোঝাপড়া ও মনোযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরো বেশি কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। সামরিক প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন ও উন্নতমানের অস্ত্র তৈরি করার জন্য আরও বেশি করে গবেষণা করবে এই সংস্থাগুলি।
সামরিক ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সংস্কার করা নতুন আইনে আগামীদিনে শি জিনপিং নেতৃত্বে আরো বেশি ক্ষমতা প্রয়োগের বৈধতা পেয়েছে চীনা সেনাবাহিনী। এর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সংঘর্ষের পরিস্থিতি আরো বেশি জটিল ও জড়ানো হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনের ক্ষমতায় থাকা কমিউনিস্ট পার্টি সমর্থিত সানডে টাইমসের প্রাক্তন সহকারি সম্পাদক উয়েন বলেছেন, সংস্কার করা নতুন আইনের ফলে আগামীতে চীনা সেনাবাহিনী বিশেষ মর্যাদা পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।
Leave a Reply